থ্যালাসেমিয়া প্রধান দুই ধরনের
থ্যালাসেমিয়া দুইটি প্রধান ধরনের হতে পারে: আলফা থ্যালাসেমিয়া ও বেটা থ্যালাসেমিয়া। সাধারণভাবে বেটা থ্যালাসেমিয়া আলফা থ্যালাসেমিয়া থেকে অধিক তীব্র। আলফা থ্যালাসেমিয়া বিশিষ্ট ব্যক্তির ক্ষেত্রে রোগের উপসর্গ মৃদু বা মাঝারি প্রকৃতির হয়। অন্যদিকে বেটা থ্যালাসেমিয়ার ক্ষেত্রে রোগের তীব্রতা বা প্রকোপ অনেক বেশি; এক-দুই বছরের শিশুর ক্ষেত্রে ঠিকমত চিকিৎসা না করলে এটি শিশুর মৃত্যুর কারণ হতে পারে।
সাধারণত শিশুর ১-১.৫ বছরের মধ্যে লক্ষণ প্রকাশ পায়। উল্লেখযোগ্য লক্ষণগুলো হল-
* রক্তে অতিরিক্ত আয়রন
* অস্বাভাবিক অস্থি
* প্লীহা বড় হয়ে যাওয়া
* অবসাদ অনুভব
* দূর্বলতা
* শ্বাসকষ্ট
* মুখ-মন্ডল ফ্যাকাশে হয়ে যাওয়া
* অস্বস্তি
* ত্বক হলদে হয়ে যাওয়া (জন্ডিস)
* মুখের হাড়ের বিকৃতি
* ধীরগতিতে শারীরিক বৃদ্ধি
* পেট বাইরের দিকে প্রসারিত হওয়া বা বৃদ্ধি পাওয়া
* গাঢ় রঙের প্রস্রাব
* হৃৎপিণ্ডে সমস্যা
সবচেয়ে ভয়াবহ বিষয় হল, থ্যালাসেমিয়া নিয়ে একবার জন্মগ্রহণ করলে তা আর কখনই সারিয়ে তোলা সম্ভব নয়।
কিন্তু, সময়মত নেয়া যথাযথ পদক্ষেপের মাধ্যমে ভয়াবহ এই ব্যাধিকেও প্রতিরোধ করা সম্ভব।
তাই প্রতিরোধ এখনি!