থ্যালাসেমিয়া একটি বংশগত রক্তের রোগ
থ্যালাসেমিয়া একটি বংশগত রক্তের রোগ। এই রোগে আক্রান্ত হলে, আক্রান্ত ব্যক্তির রক্তে অক্সিজেন পরিবহনকারী হিমোগ্লোবিন কণার উৎপাদন ব্যাহত হয়। ফলে মারাত্মক রক্ত স্বল্পতা দেখা যায়।
পিতা মাতা থেকে সন্তানের দেহে জিনের মাধ্যমে এ রোগের সৃষ্টি হয়।অনেক সময় নিজের অজান্তেই পিতা মাতা এই রোগের জিন বহন করে। এদের থ্যালাসেমিয়া ক্যারিয়ার বলে। থ্যালাসেমিয়া ক্যারিয়ারের কোন শারীরিক লক্ষণ না থাকায় তা খালি চোখে ধরা পড়ে না। কেবলমাত্র বাচ্চা জন্মদানের পরেই বাচ্চা থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত হলে পরে তা বোঝা যায়। একারণে বিয়ের পূর্বেই কিংবা বাচ্চা গ্রহণের পূর্বে থ্যালাসেমিয়া ক্যারিয়ার সনাক্তকরণ পরীক্ষা করিয়ে নেয়া জরুরি।
তবে, থ্যালাসেমিয়া কোন ছোঁয়াচে/সংক্রামক রোগ নয়, একজন থেকে অন্যজনে ছড়ায় না। কেবলমাত্র যে বংশে এ রোগ আছে সেই বংশের লোকজনই বংশানুক্রমে এটা বহন করে চলে।
থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত মানুষ সাধারণত রক্তে অক্সিজেন স্বল্পতা বা অ্যানিমিয়ার ফলে অবসাদগ্রস্ততায় ভোগে, এমনকি এদের অঙ্গহানি ঘটতেও পারে।
শুধু তাই নয়, উপযুক্ত চিকিৎসা না হলে যার পরিণতি হতে পারে অকাল মৃত্যু!
প্রতিবছর বিশ্বে প্রায় ১ লক্ষ শিশু থ্যালাসেমিয়া নিয়ে জন্মগ্রহণ করে। আমাদের সারাদেশে এরোগে আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা সাড়ে তিন লাখেরও বেশি। আর, দেশে দেড় কোটিরও বেশি মানুষ নিজের অজান্তেই এ রোগের জিন বহন করছে।
বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশে প্রায় ৪ দশমিক ১ ভাগ মানুষ বিটা থ্যালাসেমিয়ার বাহক।
তাই প্রতিরোধ এখনি!